পাসপোর্ট করবেন কিভাবে? দালাল দের খপ্পর থেকে বাঁচতে নিজের পাসপোর্ট নিজেই করুন ! পাসপোর্ট এর A to Z !!
দেশ বিদেশ ভ্রমণের শখ কিন্তু পাসপোর্ট করবেন কিভাবে জানেন না ? তাহোলে এই পোস্ট টি আপনার জন্যই লেখা ! বর্তমানে অনেকে মনে করে পাসপোর্ট করা অনেক কঠিন কাজ এবং প্রচুর ব্যায়বহুল। আসলে তেমন কিছু না, মানুষ তাদের অজ্ঞতা থেকে এমন ধারণা করে থাকে যা সম্পূর্ণ ভুল ! অনেকে মনে করেন পাসপোর্ট করা খুব ঝামেলার কাজ তাই দালাল দের হতে তুলে দেয় পাসপোর্ট বানানোর কাজ টি। এই সুযোগে দালাল তার পকেট ভোরে নেয় তাদের কাছ থেকে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না ! আপনি যদি এমন ঝামেলায় পড়তে না চান তাহলে আপনার জানতে হবে পাসপোর্ট বানানোর সম্পূর্ণ প্রসেসটি ! তাই আপনাদের জন্য আমাদের আজকের বিষয় পাসপোর্ট এর এ টু জেড !!
১)প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যোগার করাঃ
আপনার প্রথম কাজটা হল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যোগাড় করা যেমন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তিনটি ফটোকপি (সত্যায়িত করা), যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তবে ইংরেজি জন্মসনদ (ইংরেজিতেই লাগবে) এর তিনটি ফটোকপি (সত্যায়িত করা), সদ্য তোলা দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও পেশাগত সনদ অপ্রাপ্যবয়স্ক হলে বাবা- মা এর জাতীয় পরিচয় পত্রের ২টি করে ফটোকপি ও তাদের ছবি লাগবে ২ টি করে।
২) ফি জমা দেয়াঃ
জমা দুইভাবে দেয়া যায়। ১. অনলাইনে ২. ব্যাংকে গিয়ে।
যে ব্যাংক গুলোতে টাকা জমা দেয়া যায়ঃ
ব্যাংকে যাওয়ার আগে জাতীয় পরিচয় পত্রের একটি ফটোকপি নিবেন যাদের নাই তারা ইংরেজি জন্মসনদ এর একটি ফটোকপি নিবেন।তারপর ব্যাংকে টাকা জমা দিবেন সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ৩৪৫০টাকা (২১ দিনে পাবেন)এবং জরুরী পাসপোর্টের জন্য৬৯০০টাকা (৭দিনে পাবেন)।টাকা জমা দেয়ার পর রিসিট ঠিক মত বুঝে নিবেন দুটো রিসিট দিবে নাম, নাম্বার ঠিক আসে কিনা সিল সাইন আছে কিনা ভাল করে দেখে নিবেন ভুল হলে ঝামেলা হবে আপনার টাকাটা মাইর যাইতে পারে। দুই টা রিসিট এর একটা পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম এ লাগাবেন আর একটা আপনার কাছে যত্ন করে রাখবেন পাসপোর্ট আনার সময় লাগবে।
- ওয়ান ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
- ঢাকা ব্যাংক
- ট্রাস্ট ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- প্রিমিয়ার ব্যাংক
৩) ফরম পূরণ করাঃ
টাকা জমা দেয়া হয়ে গেলে এখন কাজ হচ্ছে আবেদন ফর্ম পূরণ করা। ফর্ম দুইভাবে পূরণ করতে পারেন।
১. ফর্ম ডাউনলোড করে তারপর প্রিন্ট করে পূরণ করা।
২. অনলাইনে পূরণ করে তারপর ডাউনলোড করে প্রিন্ট করা।
অনলাইনে ফর্ম পূরণ করাটাই ভালো তাহলে ভুল হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। অফলাইনে করলে ভুল হতেই পারে কাটাকাটি হয় নানান সমস্যা হয় আর কোন প্রকার কাটাকাটি,ঘসাঘসি,ফ্লুইড ব্যবহার করা যাবে না তাহলে ফর্ম বাতিল আর যখন আপনি পাসপোর্ট অফিসে যাবেন তখন অপারেটর আপনার ফর্ম দেখে দেখে অনলাইনে পূরণ করবে। তাই ভুল হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই নিজে নিজে অনলাইনে করলে আপনি একবারে যায়গায় কয়েকবার চেক করতে পারবেন।আর আপনি না বুজলে অনেক দোকান আছে যারা এ ধরনের কাজ করে ১০০/২০০ টাকা নিবে ওরা অনলাইনে পুরন করে দিবে।
হাতে পুরন করার জন্য আপনি এখান থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে নিতে পারেনঃ
Download Form
অনলাইনে করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করে নিজে নিজে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারবেনঃ
Online Form Fill up
৩)পাসপোর্ট ফর্ম পুরন এর নিময় কানুন
ফর্ম পূরণ করার সময় সব তথ্য খুব ভালোভাবে দেখে শুনে দিতে হবে। যেমন নাম, জন্মতারিখ, বাবা-মা এর নাম, এন আই ডি নাম্বার। এইসব কোন ভাবেই ভুল করা চলবে না, তাহলে ভবিষ্যৎ এ আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। এছাড়াও যদি আপনার ডকুমেন্টে কোন ধরণের ভুল থেকে থাকে তাহলে সেগুলো আগে সংশোধন করে নিন তারপর ফর্ম পূরণ করুন।
OFFICIAL – যারা উপযুক্ত তাদের জন্য, GO অথবা PDS জমা দিতে হবে।
DIPLOMATIC – ডিপ্লোম্যাটদের জন্য, কোন ডকুমেন্ট লাগবে না।
ORDINARY – সাধারণ জনগণের জন্য, কোন সাপোর্টিং ডকুমেন্ট লাগবে না।
২। ডেলিভারি টাইপঃ
ব্যাংকে যদি ৩৪৫০ টাকা জমা দেন তাহলে REGULAR দিবেন এবং ৬৯০০ টাকা জমা দিলে EXPRESS দিবেন।
৩। নামঃ
লেখা শুরুর আগে খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা যে বাংলায় নাম লিখার জায়গা বাদে আপনি যা কিছু লিখেন সব জায়গার সব আক্ষর বড় হাতের ইংরেজিতে লিখতে হবে বাধ্যতামূলক।
নামের দুইটা পার্ট First Part(Given Name) এবং Second Name(Surname)। পুরো নামের শেষ অংশটা Surname এ হবে, বাকিটা Given Name। কারো নামে “মোঃ” থাকলে পুরো MOHAMMAD লেখা লাগবে নাশুধু Md লিখবেন ডট দেবেন না( NID/জন্ম সনদ অনুযায়ী লিখবেন)। কোন রকম শিক্ষাগত ডিগ্রী নামের আগে পিছে লিখবেন না। যেমন ডক্টর,এডভকেড এগুলি আরকি। কোন নামের আগে মরহুম (late) লেখা যাবে না। নামে এস্পেস থাকলে এক ঘর করে ফাকা রেখে লিখবেন।
৫। জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারজাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিবেন না থাকলে জন্ম সনদ এর নাম্বার দিন।
৬। উচ্চতা
আপনার উচ্চতা দিবেন ইঞ্চিতে জানলে ইঞ্চিতে লিখবেন।
৭। জরুরী যোগাযোগ
জরুরী যোগাযোগের জন্য এমন কাউকে দেবেন যাকে সবসময় পাওয়া যাবে।
৮।ব্যাংক এর অপশন
ব্যাংকের পেমেন্ট অপশনে ব্যাংকের নাম, শাখা, রসিদ নম্বর ও টাকা জমা দেয়ার তারিখ দিতে হবে।
৯।ফর্ম সাবমিট ও প্রিন্ট
সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে পূরণ হয়ে গেলে ফরম দুবার সব চেক করবেন তারপর সাবমিট করবেন এবং পিডিএফ ডাউনলোড করে নিবেন।অনলাইনে ফরম সাবমিট করার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বায়োমেট্রিকের জন্য যাবেন, নাহলে ফর্মটা অটোমেটিক সার্ভার থেকে ডিলিট হয়ে যাবে। তখন আবার পূরণ করতে হবে।আবেদন ফর্মটি চার পৃষ্ঠার। প্রিন্টের সময় আলাদা আলাদা চার পেইজ প্রিন্ট না করে ২ পেইজে এপিঠ ওপিঠ করে মোট ২ কপি প্রিন্ট করবেন।
১০. প্রিন্ট এর পর ফর্ম এর কিছু কাজ হাতে করতে হবে দেখুন কি কি কাজ হাতে করবেনঃ
১. ১ম পৃষ্ঠার ১নং পয়েন্টে আপনার নাম বাংলায় লিখতে হবে।
২. ৩য় পৃষ্ঠার ২৪নং পয়েন্টে ফর্মের সাথে যেসব ডকুমেন্ট দিচ্ছেন ঐ ঘরগুলোতে √ টিকচিহ্ন দিতে হবে।
৩. ৩য় পৃষ্ঠার অঙ্গীকার নামা অংশে তারিখ ও আপনার স্বাক্ষর দিবেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে অভিবাবকের স্বাক্ষর বা টিপসই দিতে হবে।
৪. পাসপোর্ট সাইজের দুইকপি ছবি দুই ফর্মের নির্ধারিত যায়গায় আঠা দিয়ে লাগাবেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে আবেদনকারীর পিতা-মাতার ছবিও নির্ধারিত যায়গায় আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। পিনআপ করবেন না।
৫. ব্যাংকের রসিদটি প্রথম ফর্মের উপরে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিবেন। এমনভাবে লাগাবেন যাতে ছবি এবং বারকোডের কোন ক্ষতি না হয়।
আপনার কাজ আপাতত শেষ এখন যাবতীয় কাগজ সত্যায়িত করতে হবে এটা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করাতে পারেন কিংবা আরো যারা করে পারে– সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, গেজেটেড কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও পৌর কাউন্সিলরগণ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, নোটারী পাবলিক ও আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জাতীয় বেতন স্কেলের ৭ম ও তদুর্ধ্ব গ্রেডের গ্রেডের কর্মকর্তাগণ।
কি কি সত্যায়িত করতে হবেঃ
১. ফর্ম এ ছবি আঠা দিয়ে লাগানোর পর ছবির উপর সত্যায়িত করতে হবে।
২. ফর্মের ৪র্থ পৃষ্ঠায় প্রত্যয়ন অংশে সত্যায়িত করতে হবে।
৩. জাতীয় পরিচয় পত্রের দুইটি ফটোকপি যদি না থাকে তবে জন্মসনদ এর দুইটি ফটোকপি সত্যায়িত করতে হবে।
৪. প্রফেশন অনুযায়ী প্রত্যায়ন পত্র নিয়ে ২ কপি ফটোকপি করে সত্যায়িত করতে হবে যেমন আপনি যদি চাকুরী করেন সেই প্রতিষ্ঠান থেকে পেশাগত সনদপত্র নিতে হবে আর যদি পড়াশোনা করেন তবে স্কুল /কলেজের থেকে নিতে হবে যদি আপনি ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ড্রাইভার হন তবে আপনার পেশার সারটিফিকিট নিয়ে ২ টি ফটোকপি করে সত্যায়িত করবেন। ব্যাবসাই হলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স, টিন আগুলো নিয়ে সত্যায়িত করবেন।
১১) সব ফর্ম একসাথে করা
১. আপনার লেখা লেখির সব কাজ শেষ সত্যায়িত করাও শেষ এখন ২টি পূরণকৃত কমপ্লিট পাসপোর্ট আবেদন ফরম এ ১টি করে সব কাগজ ঢুকাবেন যেমন বার্থ সার্টিফিকেট বা এনআইডির সত্যায়িত কপি ১টি, পেশাগত সনদ সত্যায়িত করা ১ কপি, GO/PDS/NOC অরিজিনাল কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) তারপর একসাথে পিন-আপ করবেন।
২. আর অবশ্যই সব ডকুমেন্ট এর অরিজিনাল কপি সাথে রাখবেন কারন অনেক সময় এগুলো দেখতে চায়।
১২) ফর্ম জমা দেয়ার প্রস্তুতি।
১. পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন সাদা রঙের কোন পোষাক পরা যাবে না, সাদা টুপি পরা যাবে না,চশমা পরা যাবে না ফরমাল ড্রেস পরে যাবেন।
২. তারপর অনলাইন এ করে থাকলে অনলাইন কাউন্টারে ফর্ম জমা দেবেন আর হাতে লিখলে অন্য কাউন্টার এ জমা দিবেন জিজ্ঞেস করে নিবেন ওখানে।
৩. কাউন্টার এ সব কিছু ওকে হলে ফর্মে সিল মেরে দিবে তারপর ছবি তোলার টোকেন দিবে ছবি ও ফিংগার প্রিন্ট এর জন্য অন্য রুমে যেতে হবে সিরিয়াল ধরে ছবি তুলবেন আর ফিংগার প্রিন্ট দিবেন ওখানে আপনার সব ফর্ম রেখে দিবে। ও একটা ডেলিভারি স্লিপ দিবে যেখানে পাসপোর্ট দেয়ার তারিখ থাকবে ওটা আপনি যত্ন সহকারে রেখে দিবেন। আপনার কাজ এখানেই শেষ।
১৩. পুলিশ ভেরিফিকেশনঃ
পাসপোর্ট অফিস থেকেই আপনার ফর্ম থানায় পাঠানো হবে ভেরিফিকেশন এর জন্য বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা একি হলে একি দিবেন তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশন তারাতারি হবে এবং আর আলাদা হলে আলাদা দিবেন তাহলে পুলিশ দুই জায়গায় ভেরিফিকেশন করবে। কারেন্ট বিলে যেভাবে ঠিকানা লেখা সেভাবে লিখলে ভালো হয়। যদিও পুলিশ খুব একটা বাসায় আসেনা। তারা ফোন করে আপনাকে একটা জায়গায় যেতে বলবে সেখানে গেলেই হবে আর হ্যাঁ অবশ্যই কিছু টাকা নিয়ে যাবেন ৫,০০/১,০০০৳ টাকা হলেই হবে।
১৪. পাসপোর্ট সংগ্রহঃ
সাধারণত পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনার দেয়া মোবাইল নাম্বারে মেসেজ আসবে। যদি না আসে অনলাইনে অথবা মেসেজের মাধ্যমে পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা চেক করতে পারবেন।
এই লিংকে গিয়ে Enrolment Id ও জন্মতারিখ দিয়ে পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা চেক করে পারবেনঃ
passport status check
উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তা, আর্মি অফিসার, পাসপোর্ট অফিসের চেনাজানা লোক থাকলে আরো দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়া যায়।পাসপোর্ট রেডি হলে পাসপোর্ট অফিসে টোকেন জমা দিলেই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
পাসপোর্ট সংগ্রহের পর আপনার পাসপোর্ট ভেরিফাইড হয়েছে কি না তা যাচাই করতে পারেন এই লিংকে Verify passport
হয়তো আপনি বাকেট লিস্ট তৈরি করে রেখেছেন কোন কোন দেশে ঘুরবেন, কি কি করবেন! অথবা হয়তো আপনাকে যেতে হবে MIT, Oxford, Stanford কিংবা Princeton বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে। উপর ওয়ালা না করুক আপনার বা পরিবারের কারো কিছু হয়ে গেলে চিকিৎসার প্রয়োজনে জরুরী ভিত্তিতে বিদেশে যেতে হতেই পারে। তাই সকলের উচিত আগেই পাসপোর্ট তৈরি করে রাখা। সহজ ও সুন্দর হোক সকলের জীবন। শুভ ও নিরাপদ হোক বিদেশ যাত্রা।
এছাড়া কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি আমার পক্ষ থেকে যতটুকু পারি সাহায্য করবো।
আমাদের যেকোন শিক্ষনিয় বিষয় ও মজার সব পোস্ট পেতে ফেইসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন ,ধন্যবাদ !!!!
আপনার অনুভুতি শেয়ার করুন:
পাসপোর্ট করবেন কিভাবে? দালাল দের খপ্পর থেকে বাঁচতে নিজের পাসপোর্ট নিজেই করুন ! পাসপোর্ট এর A to Z !!
Reviewed by masud rana
on
August 25, 2019
Rating:
No comments: