রক্ত দেয়া কেন প্রয়োজন?
রক্ত মানব দেহের জন্য দেহের অপরিহার্য একটি উপাদান । রক্তের কোনও বিকল্প নেই. রক্তের বিকল্প শুধুই রক্ত।
হাত, পা অথবা চোখ ব্যতীত বেঁচে থাকা সম্ভব হলেও, রক্ত ছাড়া বাঁচার কথা কল্পনাও করা যায় না।
হাত, পা অথবা চোখ ব্যতীত বেঁচে থাকা সম্ভব হলেও, রক্ত ছাড়া বাঁচার কথা কল্পনাও করা যায় না।
কারো দেহে রক্তের অভাব ঘটলে তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয় আর
এজন্য প্রয়োজন হয় রক্ত দাতার । উন্নত দেশে বেশিরভাগ রক্তদাতাই স্বেচ্ছায় রক্ত দান করে থাকে । কিন্তু আমাদের দেশের মত দরিদ্র দেশগুলো তে সেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা খুবই কম । পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের দেশে বছরে আট থেকে নয় লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। ঘাটতি থাকে তিন লাখ ব্যাগের বেশি।আমাদের দেশে রক্তের অভাবে প্রতিবছর বহুলোক মারা যায় ।এক ব্যাগ রক্ত দিতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এই অল্প সময়ে রক্ত দান করেই একজনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
এজন্য প্রয়োজন হয় রক্ত দাতার । উন্নত দেশে বেশিরভাগ রক্তদাতাই স্বেচ্ছায় রক্ত দান করে থাকে । কিন্তু আমাদের দেশের মত দরিদ্র দেশগুলো তে সেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা খুবই কম । পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের দেশে বছরে আট থেকে নয় লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। ঘাটতি থাকে তিন লাখ ব্যাগের বেশি।আমাদের দেশে রক্তের অভাবে প্রতিবছর বহুলোক মারা যায় ।এক ব্যাগ রক্ত দিতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এই অল্প সময়ে রক্ত দান করেই একজনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
রক্ত দান নিয়ে অনেকের মধ্যে ভয়ভীতি ও কুসংস্কার
আমাদের দেশে রক্ত দান নিয়ে অনেকের মধ্যে ভয়ভীতি ও কুসংস্কার কাজ করে তাই অনেকে রক্তদানে আগ্রহী না। আসলে রক্ত দানে কোনও সাস্থ ঝুকি নেই বরং অনেক উপকার রয়েছে,নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও অনেক উপকারীতা রয়েছে রক্তদানে ।কারা রক্ত দান করতে পারবে
১। যেকোন সুস্থ ব্যক্তি প্রতি তিন মাস পর একবার এবং বছরে চার বার রক্ত দান করতে পারেন ।
২। রক্তদানের ক্ষেত্রে পুরুষের ওজন অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর অন্তত ৪৫ কেজি থাকতে হবে।
৩। শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ ১৮-৬০ বছর বয়সী যেকোন পুরুষ ও নারী রক্তদান করতে পারেন ।
৪। সাধারণ কোন অসুখ থেকে সুস্থ হওয়ার ৭ দিন পর রক্তদান করা যায় ।
রক্ত কী পরিমাণ দিবেন
একবার একজন রক্তদাতা এক ব্যাগ ( ৪৫০ মিলি ) রক্ত দিয়ে থাকেন, যা কিনা আধা লিটারের কম । সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
শরীরে প্রায় ৫ লিটার রক্ত থাকে। ৪৫০ মিলি রক্ত খুব তাড়াতাড়ি আবার পূর্ণ হয়ে যায় । তাই বলা যায় রক্ত দানে কোনও সাস্থ ঝুকি নেই।
কে কাকে রক্ত দিতে পারবে?
রক্ত দেয়ার উপকারিতা:
১. রক্ত দান করার মাধ্যামে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।২. নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
৩.নিয়মিত রক্ত দান করলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৫. রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৬. শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোন রোগ আছে কি না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
রক্ত দানের চমৎকার স্বাস্থ্য উপকারিতা সহ বিস্তারিত সকল তথ্য!
Reviewed by Rakesh Barman
on
July 31, 2019
Rating:
No comments: