এবছর ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি । গত দুই সপ্তাহে শিশু সহ প্রায় আট জন মারা গেছে ভয়াবহ এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ।
তাই সাধারন মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে প্রবল উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।সাধারনত মশার কামড়ে এ রোগ হয়। এডিস নামক মশা এ রোগের ভাইরাস বহন করে । এই মশা যখন কোনো সুস্থ মানুষকে কামড় দেয় তখন ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। কারণ, এ সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল আরো এগিয়ে এসেছে। এখন জুন মাস থেকেই ডেঙ্গু জ্বরের সময় শুরু হয়ে যাচ্ছে। একটি মজার বিষয় হলো ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না। সাধারণত সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার কিছু আগে এডিস মশা তৎপর হয়ে ওঠে।
ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো কী?
ডেঙ্গুর প্রাধান লক্ষন ই হলো জ্বর। এসময় শরীরের তাপমাত্রা ১০১-১০২ ডিগ্রি এর মধ্যে থকতে পারে । এছাড়া্ও প্রচন্ড পেটে ব্যাথা, দীর্ঘকালীন বমি, ক্লন্তি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে ।অনেক সময় এই লক্ষন গুলো ছাড়াও ডেঙ্গু রোগ হতে পারে তাই জ্বর হলে অবহেলা করা উচিত নয়। জ্বরে আক্রান্ত হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে কি করণীয়?
১. ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২. ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে , কোনও প্রকার পরিশ্রম ও দৈহিক কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩.প্রচুর পরিমানে পানি বা তরল জাতীয় খাবর খেতে হবে।যেমন—ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস ইত্যাদি।
৪.ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে তবে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ খেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
৫.পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে থাকতে হবে ।
৩.প্রচুর পরিমানে পানি বা তরল জাতীয় খাবর খেতে হবে।যেমন—ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস ইত্যাদি।
৪.ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে তবে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ খেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
৫.পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে থাকতে হবে ।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়:
১. এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. এডিস মশা সাধারনত জমা হওয়া স্বচ্ছ পানিতে ডিম পাড়ে তাই কোথাও যেন কোনো ধরনের পানি পাঁচ দিনের বেশি না জমে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৪. এডিস মশা সাধারণত সূর্যোদয়ের আধা ঘণ্টার মধ্যে ও সূর্যাস্তের আধা ঘণ্টা আগে কামড়াতে পছন্দ করে। তাই এই দুই সময়ে মশার কামড় থেকে সাবধান থাকুন।
৫. ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।
৬. জানালার পাশে তুলসি গাছ লাগান। এই গাছে এমন কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা মশা তাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২. এডিস মশা সাধারনত জমা হওয়া স্বচ্ছ পানিতে ডিম পাড়ে তাই কোথাও যেন কোনো ধরনের পানি পাঁচ দিনের বেশি না জমে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৪. এডিস মশা সাধারণত সূর্যোদয়ের আধা ঘণ্টার মধ্যে ও সূর্যাস্তের আধা ঘণ্টা আগে কামড়াতে পছন্দ করে। তাই এই দুই সময়ে মশার কামড় থেকে সাবধান থাকুন।
৫. ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।
৬. জানালার পাশে তুলসি গাছ লাগান। এই গাছে এমন কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা মশা তাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে জেনে নিন প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ! রোগের লক্ষন, করণীয় ও সচেতনতা
Reviewed by Rakesh Barman
on
July 28, 2019
Rating:
No comments: